রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে বিস্ফোরক তৃণমূলের বিধায়ক বেচারাম মান্না

11th October 2020 10:32 pm হুগলী
রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে বিস্ফোরক তৃণমূলের বিধায়ক বেচারাম মান্না


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : কয়েকদিন আগে নাম না করে তৃনমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।সভাপতি দিলীপ যাদবের জন্য দলের মধ্যে উপ দল মাথা চারা দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছিলেন। রবিবার বিকালে  প্রবীর ঘোষালের বিধানসভা ক্ষেত্রে তৃনমূলের দলীয় কর্মি সম্মেলনে এসে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না নিশানা করলেন সেই জেলা সভাপতিকেই।বেচারাম বলেন,রাজনৈতিক দূর্বিত্যায়ন থেকে সতর্ক থাকতে হবে।কেউ যদি পার্টি থেকে করে খেয়ে কর্মিদের বঞ্চিত করে প্রয়োজন পরলে কর্মিরা তাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে।সেই পরিবেশ হুগলি জেলার মধ্যে তৈরী হচ্ছে।সিঙ্গুর আন্দোলনে অনেক নেতাকে দেখেছি(মঞ্চে বসা জাঙ্গীপাড়ার বিধায়ক স্নাহাশিষ চক্রবর্তীকে দেখিয়ে বলেন) যারা পুলিশের লাথি খেয়েছে চশমার কাঁচ ভেঙে গেছে।আর সেইসব নেতাকেও দেখেছি উত্তরপাড়ার যারা সেদিন পুলিশের কথা শুনে মমতা ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছিল।এই রকম নেতাদের চিহ্নিত করতে হবে।সেদিন মমতার সঙ্গে স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, পিনাকী ধামালীরা ছিল।প্রবীর ঘোষাল তখন সাংবাদিক, তার কলমের খোঁচায় মমতার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।আর কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় ছিলেন সে সময় সিঙ্গুরের জন্য মামলা লড়েছেন।এক কথায় অনেকেই ছিলেন।কিন্তু জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব? তার নামও উল্লেখ করেননি বেচারাম মান্না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।